Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

রেজিস্টার্ড ডাক্তার

নাম

পদবী

মোবাইল নম্বর

ডাঃ মোঃ নুরুল আমিন

স্যাকমো

০১৮১৮৫২২৭৬১

সহকারী ইসমাইল

স্বাঃ সহঃ

০১৮১৬৮৪৬৯৯৬

ডাঃ অচিন্ত্য চক্রবর্তী

মেডিকেল অফিসার

০১৮১৮৫১৯১১৫

সহকারী জাহাঙ্গীর আলম

স্বাঃ সহঃ

০১৮১১৮২৯৯২৯

চিকিৎসা বিজ্ঞান বা চিকিৎসা শাস্ত্র হল রোগ উপশমের বিজ্ঞান কলা বা শৈলী। মানব শরীর এবং মানব স্বাস্থ্য ভালো রাখার উদ্দেশ্যে রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিষেধক বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যায়ন করা হয় এবং প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অধ্যয়ন, গৱেষণা, এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার করে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ঔষধ বা শল্য চিকিৎসার দ্বারা রোগ নিরাময় করার চেষ্টা করা হয়।ঔষধ বা শল্য চিকিৎসা ছাড়াও মনোচিকিৎসা (psychotherapy), কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন, আণবিক রশ্মির প্রয়োগ, বিভিন্ন বাহ্যিক উপায় (যেমন, স্প্লিণ্ট (Splint) এবং ট্রাকশন),জৈবিক সামগ্রি (রক্ত, অণু জীব ইত্যাদি), শক্তি্র অন্যান্য উৎস (বিদ্যুৎচুম্বকঅতি-শব্দ ইত্যাদি) ইত্যাদিরও প্রয়োগ করা হয়।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস মানবেতিহাসের ন্যায় প্রাচীন। সুদূর অতীতে মানব প্রজাতির বিকাশের সাথে সাথেই চিকিৎসাবিদ্যাও বিকশিত হয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ঔষধ হিসাবে উদ্ভিদ (herbalism), পশুর দেহের বিভিন্ন অংশ, এবং খনিজ পদার্থ ব্যবহার করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে পুরোহিত, shamans, বা চিকিৎসকরা এই উপকরণগুলিকে ঐন্দ্রজালিক পদার্থ হিসাবে ব্যবহার করতেন। সুপরিচিত কিছু আধ্যাত্মিক ব্যবস্থাসমূহের কথা বলা যায় যেমন, প্রাণবৈচিত্র্য (আত্মার অনিবার্য বস্তু সম্পর্কে ধারণা), আধ্যাত্মিকতা (দেবতাদের কাছে আপীল বা পূর্বপুরুষের আত্মার সাথে আলাপ করা); Shamanism (রহস্যময় ক্ষমতার সঙ্গে ব্যক্তির পরিচিতি); এবং ভবিষ্যৎবাণী (জাদুর মাধ্যমে সত্যকে প্রাপ্তি)। চিকিৎসা নৃতত্ত্বের ক্ষেত্রগুলি মূলত স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যসেবা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির দ্বারা আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজের চারপাশ কী করে সংগঠিত বা প্রভাবিত হয় এমন উপায়গুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে।

প্রাচীন যুগ

মহান গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস কে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন গ্রেকো-লাতিন সংস্কৃতিরর আরেকজন বিখ্যাত চিকিৎসক হলেন গ্যালেন

প্রাচীন চিকিৎসার প্রমাণগুলি পাওয়া গেছে মিশরীয় ঔষধ, বেবিলনিয়ান ঔষধ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ (যা ভারতীয় উপমহাদেশে সুপ্রচলিত ছিল), ক্লাসিক্যাল চীনা ওষুধ ( যাকে আধুনিক ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধের পূর্বসূরি বলে ধারণা করা হয়), প্রাচীন গ্রিক ঔষধ এবং রোমান ঔষধ থেকে।

মিশরের ইমহোতেপ (৩য় সহস্রাব্দের বিসি) ছিল প্রথম পরিচিত চিকিৎসক যা ইতিহাসে পাওয়া যায় । ২000 খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে প্রাচীনতম মিশরীয় চিকিৎসা পাঠ্যক্রমটি কাহুন গাইনোকোলজিক্যাল প্যাপিরাস নামে পরিচিত যা মূলত গাইনোকোলজিক্যাল রোগের বর্ণনা দেয়ার ক্ষেত্র ব্যবহৃত হতো। ১৬00 খ্রিস্টপূর্বাব্দে এডউইন স্মিথ প্যাপিরাস সার্জারির উপর প্রথম কাজ করেছিলেন, আর ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে Ebers Papyrus কাজ করেছিলেন যা চিকিৎসা সংক্রান্ত পাঠ্যপুস্তকের অনুরূপ ছিল।

চীনে চিকিৎসা বিষয়ক প্রত্নতাত্ত্বিক যে প্রমাণগুলি পাওয়া যায় তা ছিল ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন । তখন সেখানে শং রাজবংশের শাসন চলিতেছিল । চীনে অস্ত্রোপচারের জন্য বনজঙ্গল থেকে সংগৃহীত বীজ ব্যবহৃত হতো । Huangdi Neijing ছিল চীনের চিকিৎসা শাস্রের জন্য মাইল ফলক যা ছিল দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দের শুরু এবং তৃতীয় শতাব্দীতে লেখা একটি মেডিকেল পাঠ।

ভারতে, শল্যচিকিৎসক Sushruta প্লাস্টিকের অস্ত্রোপচারের প্রাচীনতম রূপসহ অসংখ্য অস্ত্রোপচারের বর্ণনা দিয়েছেন। অস্ত্রোপচারের সবচেয়ে পুরনো রেকর্ডগুলি পাওয়া যায় শ্রীলংকার মিহিনটলে অবস্থিত উৎসর্গীকৃত হাসপাতালে , যেখানে রোগীদের জন্য সুষম চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়।

গ্রীসে, গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস যাকে "পশ্চিমা চিকিৎসা শাস্রের জনক বলা হয়", তিনিই প্রথম ঔষধের যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করেন। হিপোক্রেটিসই চিকিৎসকদের জন্য হিপোক্রেটিক ওথ চালু করেছিলেন, যা এখনও প্রাসঙ্গিক এবং আজ অবধি ব্যবহৃত হয়ে আসতেছে । রোগকে তখনি প্রথম acute, chronic, endemic and epidemic হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাছাড়া তাদেরকে "exacerbation, relapse, resolution, crisis, paroxysm, peak, and convalescence" হিসাবেও শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল । গ্রীক চিকিৎসক গ্যালেন প্রাচীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সার্জন ছিলেন বলে ধারণা করা হয় । মস্তিষ্ক ও চক্ষু অস্ত্রোপচার সহ অনেক অদ্ভুত অপারেশন তিনি করেছিলেন। পশ্চিমা রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এবং মধ্যযুগীয় যুগের সূচনা হওয়ার পরে পশ্চিম ইউরোপে ঔষধের গ্রীক ঐতিহ্য হ্রাস পেতে থাকে, যদিও এই পদ্ধতিটি পূর্ব রোমান (বাইজানটাইন) সাম্রাজ্যের মধ্যে অব্যাহত ছিল।

১ম সহস্রাব্দের দিকে প্রাচীন হিব্রু চিকিৎসা পদ্বতির অধিকাংশই তওরাত থেকে আসে । যেমন মুসা (আ) এর পাঁচটি বই, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আইন এবং রীতিনীতিগুলি ধারণ করে। আধুনিক ঔষধের উন্নয়নে হিব্রুদের অবদান বাইজেন্টাইন যুগে শুরু হয়েছিল ইহুদি চিকিৎসক আসফ এর মাধ্যমে।